আজকের সমাজ - গোপাল পাত্র - E-Book

আজকের সমাজ E-Book

乔治 德 马尔蒂诺

0,0
3,35 €

-100%
Sammeln Sie Punkte in unserem Gutscheinprogramm und kaufen Sie E-Books und Hörbücher mit bis zu 100% Rabatt.
Mehr erfahren.
Beschreibung

আজকের সমাজ পূর্ণাঙ্গ সামাজিক চিত্রনাট্য


" আজকের সমাজ " এটি একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্রনাট্য- বর্তমান সময়ের বাস্তব চিত্র তথা বর্তমান সময়ের রাজনীতি - অর্থনীতি - শিক্ষানীতি - সমাজনীতি হুবহু তুলে ধরা হয়েছে ! সাহিত্য নাকি সমাজের দর্পণ ? এর সত্যতা প্রমাণের জন্য এই চিত্র নাটকের অবতারণা ...এটাকে বাস্তব সমাজের দর্পণ ও বলা যেতে পারে ! ঠাকুর-শ্রী-শ্রী-রামকৃষ্ণ বলতেন - "নাটক -থেয়েটারে লোক শিক্ষে হয় রে" জানিনা এই চিত্রনাট্য থেকে মানুষ কতটা সচেতন হবে বা শিক্ষা নেবে ! গল্প-কবিতা তো অনেক হলো এবার হাত দিলাম চিত্রনাট্যে - জানিনা পাঠকমহলে কতটা তে উৎসাহী হবেন ? তবে আমার মনে হয় গল্প-উপন্যাসের থেকে চিত্রনাট্যে চিত্রগুলি বেশি উজ্জ্বল হওয়ার দরুন মানসপটে দাগ কাটবে সহজেই ... গোপাল পাত্র ........✍️

Sie lesen das E-Book in den Legimi-Apps auf:

Android
iOS
von Legimi
zertifizierten E-Readern

Seitenzahl: 135

Bewertungen
0,0
0
0
0
0
0
Mehr Informationen
Mehr Informationen
Legimi prüft nicht, ob Rezensionen von Nutzern stammen, die den betreffenden Titel tatsächlich gekauft oder gelesen/gehört haben. Wir entfernen aber gefälschte Rezensionen.



আজকেরসমাজ

চিত্রনাট্য

BY

গোপালপাত্র

ISBN9789354382208©গোপালপাত্র2021PublishedinIndia2021byPencilAbrandofOnePointSixTechnologiesPvt.Ltd.123,BuildingJ2,ShramSevaPremises,WadalaTruckTerminal,Wadala(E)Mumbai400037,Maharashtra,INDIAEconnect@thepencilapp.comWwww.thepencilapp.comAllrightsreservedworldwideNopartofthispublicationmaybereproduced,storedinorintroducedintoaretrievalsystem,ortransmitted,inanyform,orbyanymeans(electronic,mechanical,photocopying,recordingorotherwise),withoutthepriorwrittenpermissionofthePublisher.Anypersonwhocommitsanunauthorizedactinrelationtothispublicationcanbeliabletocriminalprosecutionandcivilclaimsfordamages.

DISCLAIMER:Thisisaworkoffiction.Names,characters,places,eventsandincidentsaretheproductsoftheauthor'simagination.TheopinionsexpressedinthisbookdonotseektoreflecttheviewsofthePublisher.

Authorbiography

কবি

-

গোপাল

পাত্র

এক

অপাংক্তেয়

কবি

-গল্পকার

জীবন

যুদ্ধে

লড়ে

যাওয়া

এক

হার

না

মানা

সৈনিক

-

যাঁর

হাতিয়ার

নির্ভীকতা

এবং

সততা...

বিস্তারিত

জানতে

গুগোল

সার্চ

করুন

বাংলা

বা

ইংরেজি

হরফে

লিখুন

"

গোপাল

পাত্র

"

সার্চ

করলেই

পেয়ে

যাবেন

সমস্ত

তথ্য

!

Poet

-

Gopal

Patra

 The

life

of

an

impeccable

poet-storyteller

is

an

invincible

soldier

who

fought

in

battle

-

whose

tool

is

fearlessness

and

honesty

...

 Search

Google

for

details,

type

in

Bangla

or

English

letters,

search

for

"Gopal

Patra"

and

you

will

get

all

the

information!

Contents

আজকেরসমাজ

আজকেরসমাজ

আজকের

সমাজ

 গোপাল

পাত্র

পূর্ণাঙ্গ

সামাজিক

চিত্রনাট্য

"

আজকের

সমাজ

"

এটি

একটি

পূর্ণাঙ্গ

চিত্রনাট্য-

বর্তমান

সময়ের

বাস্তব

চিত্র

তথা

বর্তমান

সময়ের

রাজনীতি

-

অর্থনীতি

-

শিক্ষানীতি

-

সমাজনীতি

হুবহু

তুলে

ধরা

হয়েছে

!

সাহিত্য

নাকি

সমাজের

দর্পণ

?

এর

সত্যতা

প্রমাণের

জন্য

এই

চিত্র

নাটকের

অবতারণা

...এটাকে

বাস্তব

সমাজের

দর্পণ

বলা

যেতে

পারে

!

ঠাকুর-শ্রী-শ্রী-রামকৃষ্ণ

বলতেন

-

 "নাটক

-থেয়েটারে

লোক

শিক্ষে

হয়

রে" 

জানিনা

এই

চিত্রনাট্য

থেকে

মানুষ

কতটা

সচেতন

হবে

বা

শিক্ষা

নেবে

!

গল্প-কবিতা

তো

অনেক

হলো

এবার

হাত

দিলাম

চিত্রনাট্যে

-

জানিনা

পাঠকমহলে

কতটা

তে 

উৎসাহী

হবেন

?

তবে

আমার

মনে

হয়

গল্প-উপন্যাসের

থেকে

চিত্রনাট্যে

চিত্রগুলি

বেশি

উজ্জ্বল

হওয়ার

দরুন

মানসপটে

দাগ

কাটবে

সহজেই

...

 পরিশেষে

বলি

এই

চিত্রনাট্যে

...স্থান-কাল-পাত্র

সমস্ত

চরিত্র

কাল্পনিক-

বাস্তবের

সঙ্গে

মিলে

গেলে

সেটা

কাকতালীয়

এবং

অনিচ্ছাকৃত..

এজন্য

লেখক

কোনভাবেই

দায়ী

নন

...

গোপাল

পাত্র

........✍️

প্রথম

অংকের 

-  

 -:

প্রথম

দৃশ্য

:-

(সাধারন

মঞ্চ

নেপথ্যে

বহু

মানুষের

হৈ-

হট্টগোল

নানান

চিৎকারের

মাঝে

সুবর্ণের

প্রবেশ..

পরনে

সাদা

মাটা

পোশাক

বয়স

আনুমানিক

৩০বছর

)

সুবর্ণ।।

আপনারা

শান্ত

হন

,

দয়াকরে

কথা

বলবেন

না

..প্লিজ

আমাকে

বলতে

দিন

-

অমিত

দা

এসে

গেছেন..

আমিত

দা

মানে

আমাদের

সেই

শ্রমিক

দরদী-

মানবতাবাদি

-আমার

-আপনার

ভাই-বন্ধু

আমাদের

সেই

ইউনিয়ন

নেতা

মাননীয়

অমিত

রায়

আপনার

উদ্দেশ্যে

এখন

ভাষণ

দেবেন....

(নেপথ্য

করতালি

সহ

চিৎকার

অমিতদা

বলুন

অমিতদা

শুরু

করুন

)

অমিতের

প্রবেশ

এবং

মঞ্চ

দখল

...

পরনে

অতি

সাধারণ

পাজামা

পাঞ্জাবী

বয়স্ক

আনুমানিক

৩০

বা

একটু

বেশি

অমিত

।।

(করজোড়ে 

মাথা

নিচু

করে

)

নমস্কার...

নমস্কার...

সুবর্ণ

।।

অমিত

দা

কি

জয়...

(

নেপথ্যে

জয়

ধোনি

-

আমিতদার

জয়

হোক

জয়

হোক

জয়

শমিক

আন্দোলন

দীর্ঘজীবী

হোক

(নেপথ্যে

দীর্ঘজীবী

দীর্ঘজীবী

হোক

)

নিন

অমিত

দা

শুরু

করুন

...

অমিত

।।

আমার

জয়ধ্বনী

দিয়ে

লাভ

হবে

না, 

মালিকপক্ষকে

কোণঠাসা

করতে

সারা

রাজ্য

জুড়ে

প্রতিবাদ

গড়ে

তুলুন..

মনে

রাখবেন

অধিকার

কেউ

কাউকে

সহজে

দেয়না...

অধিকার

চেয়ে

নিতে

হয়

অধিকার

কেড়ে

নিতে

হয়…

অধিকারের

লড়ে

নিতে

হয়

...

তাই

বলছি

বন্ধুগণ

ঘরে

বসে

অধিকার

পাওয়া

যাবে

না-

আসুন

বেরিয়ে

আসুন

এই

খোলা

রাস্তায়

মালিকের

চোখে-

চোখ

রেখে

কথা

বলতে

শিখুন...

মনে

রাখবেন

বন্ধুগণ

আপনার

সেই

প্রতিবাদী

একদিন

প্রতিধ্বনিত

হয়ে

এই

দেশের

আকাশ-

বাতাস

কাঁপিয়ে

দেবে

!

আজ

হয়তো

একশো

জন

কাল

হাজার

পরশু

একলাখ

তারপর

...দেখবেন

কোটি

কোটি

মানুষ

পথে

নেমে

নিজের

অধিকার

ছিনিয়ে

নিতে

আন্দলনে

শামিল

হয়েছে

...

(নেপথ্যে

অজস্র

করতালি 

সুবর্ণ

যোগ

দেয়

হাততালি

কমলে

আবার

শুরু

)

ওই

মালিকপক্ষ

আমাদের

রক্ত

ঘাম

একাকার

করা

পরিশ্রমের

বিনিময়ে

আমাদেরই

মাথায়

পা

দিয়ে

-

আমাদেরকে

সোপান

করে

...লক্ষ-

লক্ষ

কোটি

-কোটি

টাকার

মুনাফা

লুটছে

!

এয়ারকন্ডিশন

গাড়ী

চড়ছে…প্রাসাদ

প্রমাণ

বাড়িতে

বসবাস

করছে...

পার্টি

দিচ্ছে

…মদ

খাচ্ছে

...মেয়ে

মানুষ

নিয়ে

ফুর্তি

করছে

...

আর

আমরা

মানে

খেটে

খাওয়া

শ্রমজীবী

মানুষেরা

রাস্তার

ওই

কুকুরগুলোর

মতো

একমুঠো

খাবারের

জন্য

কাড়াকাড়ি

করছি…

মারামারি

করছি…

(নেপথ্যে

অজস্র

করতালি)

 আমাদের

মা

বোনেদের

দুবেলা

খাবার

জোটে

না-

পরনে

কাপড়

শতছিন্ন…

আমাদের

ছেলে-মেয়েদের

চিকিৎসা

নেই…

এক

ফোটাও

ঔষধ

নেই...

শিক্ষা

নেই

তাই

বলছি

বন্ধুগণ

ঘরে

শুয়ে

শুয়ে

কড়ি

কাঠ 

না

গুনে-

আন্দোলন

করুন

-

শ্রমিকের

স্বার্থে

-কৃষকের

স্বার্থে

-

মজুরের

স্বার্থে...

সর্বোপরি

নিজেদের

বাঁচার

স্বার্থে...

সামনে

লা

মে

শ্রমিক

দিবস

-ওই

দিন

আমরা

শপথ

গ্রহণ

করব

যাতে 

হাতে

হাত

মিলিয়ে-

কাঁধে

কাঁধ

মিলিয়ে

আন্দোলন

চালিয়ে

যেতে

পারি

আর

ওই

দিনই

সকলের

সই

সম্মিলিত

একটি

আবেদনপত্র

যাতে

আমাদের

ন্যূনতম

চাহিদা 

স্পষ্ট

করে

জানানো

থাকবে

...ওই

পত্রটি

আমরা

বিধানসভায়

গিয়ে

মুখ্যমন্ত্রী

দপ্তরের

জমা

দেব

এবং

অনুরোধ

করব

যাতে

পার্লামেন্ট

থেকে

শ্রমিক

স্বার্থে

একটি

বিল

পাস

করা

হয়...

আপনারা

কি

বলেন

?

(নেপথ্যে

অজস্র

কন্ঠ

হ্যাঁ

-হ্যাঁ-

নিশ্চয়ই-

নিশ্চয়ই

)

যদি

তা

না

হয়

আমরা

হাজার

হাজারে…

লাখে

-

লাখে 

পথে

নামবো 

..

রাজ্য

তথা

সারা

দেশজুড়ে

আন্দোলনের

ডাক

দেবো

-

বনধের

ডাক

দেব

...

সমস্ত

শ্রমিক

এক

হয়ে

লক

আউট

করব

...

কাজ

বনধ-

চাকা-

বনধ...

প্রয়োজনে

প্রাণ

দেব

তবু

শ্রমিক

স্বার্থ

বিকিয়ে

দেব

না

ওই

মালিকের

পায়ের

চকচকে

বুটের

তলায়...(

নেপথ্যে

জোরে

হাততালি

)

"যতক্ষণ

এই

দেহে

আছে

প্রাণ

ততক্ষণ

প্রাণপণে

সরাবো

জঞ্জাল

"

(করতালির

মাঝে

গাড়ী 

আওয়াজ

সিটির

শব্দ

...শব্দ

শুনে

সচকিত

সকলেই

তাকায়

পিছন

ফিরে

)

সুবর্ণ

।।ওই

বুঝি

অরিন্দম

বাবু

এলেন

..

(অরিন্দম

বাবু

এবং

তার

সাঙ্গপাঙ্গ

গাড়ি

থেকে

নামতে

দেখে

)

অমিত।।

পুঁজিবাদ

নিপাত

যাক

(

নেপথ্যে

নিপাত

যাক-

নিপাত

যাক

)

মালিকপক্ষ

দূর

হাঁটো

(নেপথ্যে

দূর

হাঁটো-

দূর

হাঁটো

)

আমাদের

দাবি

মানতে

হবে(

নেপথ্যে

মানতে

হবে

মানতে

হবে

)

(সমানে

কলাহল

চলছে

তারই

মাঝে

হন্তদন্ত

হয়ে

অরিন্দম

গাঙ্গুলীর

প্রবেশ...

মঞ্চ

দখল

-

পরনে

প্যান্ট

শার্ট

ফ্রেঞ্চ

কাট

দাড়ি

বয়স

আনুমানিক

৩২-৩৩

)

অরিন্দম

।।

মাইক

হাতে

আপনারা

শান্ত-

হোন

শান্ত

হোন

প্লিজ

(নেপথ্যে

-আপনার

মিষ্টি

কথায়

চিড়া

ভিজবে

না-

হট্টগোল

জারি

ঠিক

আছে

প্লিজ

আমাকে

বলতে

দিন-

আমি

যথাসম্ভব

চেষ্টা

করব-

আপনাদের

জন্য

কি

করা

যায়-

তা

ভেবেও

দেখব...

অমিত

।।

আগে

তো

কতই

চেষ্টা

করলেন-

অরিন্দম

বাবু

তার

ফল

কিছু

হল

কি?

আজ

আমরা

বাধ্য

হয়েই

লগআউটের

পথে

হেঁটেছি

...কথায়

আছে

না

বিড়াল

সহজে

গাছে

ওঠে

না

!

আমাদের

অবস্থা

সেরকমই-

আমরা

অনির্দিষ্টকালের

জন্য

লগ

আউট

করবো

... 

(নেপথ্যে

লকআউট

চাই

লকআউট

চাই)

অরিন্দম

।।

অমিত

বাবু

প্লিজ

আমাকে

বলতে

দিন

-

আজ

আপনারা

যে

যাঁর

কাজ

করুন

প্লিজ...

(

হাতজোড়

করে

)

আমি

কথা

দিচ্ছি

আগামী

সপ্তাহে

আমার

অফিস

একটা

মিটিং

ডাকছি

ওই

মিটিংয়ে

আপনাদের

নেতা

অমিত

বাবু

;সহযোগী

সুবর্ণ

উপস্থিত

থাকবেন

এবং

উনাদের

সঙ্গে

আলাপ-আলোচনার

মাধ্যমেই

আপনাদের

ন্যায্য

দাবিগুলো

পূরণ

করার

চেষ্টা

করা

হবে...

প্লিজ

সাহায্য

করুন

আমি

কথা

দিচ্ছি...!

অমিত।।

আপনি

অনেক

কথাই

তো

দিয়েছিলেন-

শুধু

ঝুড়ি

ঝুড়ি

প্রতিশ্রুতি

তার

কটা

রেখেছেন

মিস্টার

অরিন্দম

গাঙ্গুলী

?

তার

দশ

শতাংশ

রাখেননি

...

সুবর্ণ

।।

ঠিক

আছে

অমিতদা

উনি

যখন

এতই

বড়

মুখ

করে

বলছেন

আর

একটা

সুযোগ

ওনাকে

দাও

না

প্লিজ...

অমিত

।।

ঠিক

আছে

তুমি

যখন

বলছ

তখন

দেখা

যাক

কি

হয়

?আখেরে

কোনো

লাভ

হবে

বলে

মনে

হয়

না...

সুবর্ণ

।।

আখেরে

কার

লাভ

কার

পৌষ

মাস-

কারো

সর্বনাশ-

হবে

তা

শুধু

ভবিষ্যত

বলতে

পারে

অমিতদা...

বর্তমানে

তার

আন্দাজ

করা

কঠিন

...

অরিন্দম

। 

আপনি

ঠিকই

বলেছেন

সুবর্ণ

বাবু

-

ভবিষ্যৎ

কে

বলতে

পারে

এমন

তো

হতে

পারে

যে-

"

জলভরা

কলসির

মত

চুপ

হয়ে

গেলেন-

আন্দোলন

থেমে

গেল…

অমিত

।।

তার

মানে

...

সুবর্ণ।। 

উনি

বোধহয়

পরমপ্রেমময়

ঠাকুর

রামকৃষ্ণের

একটি

বাণী

আমাদের

স্মরণ

করিয়ে

দিতে

চাইছেন...

অরিন্দম

।।

ঠিক

ধরেছেন

আপনি

ব্যাপারটা

হল

এইরকম

যখন

কলসিতে

জল

ভরা

হয়

তখন

কলসি

ভেতর 

কত

কতরকম

আওয়াজ

বের

হয়

-

আর

যেই

কলসি

জল

ভর্তি

হয়ে

যায়

কোন

আর

শব্দ

হয়

না

!

অমিত

।।

কথার

মোড়

কোন

দিকে

বাঁক

নিচ্ছে

তা

বোঝার

মত

বয়স

আর

বুদ্ধি

দুটোই

আমার

আছে

-

আমাকে

সেই

রকম

স্বার্থপর

ভাবেন

নাকি?

যে

শ্রমিকের

পেটে

লাথি

মেরে

নিজের

পেট

ভর্তি

করব

?

সুবর্ণ

।।

ছি 

ছি

অমিতদা

-না

না

আপনাকে

ওইরকম

কে

বললো

না

মানে

ওই

রকম

আকছার

হচ্ছে

খবরের

কাগজে

দেখন

না

-

অমুক

নেতা

-

অমুক

মন্ত্রী 

কোটি

টাকা

আত্মসাৎ

করে

কারখানায়

লাল

বাতি

জ্বেলে

দিয়েছে

!

কিন্তু

আপনি

মোটেও

ওরকম

নন…

অরিন্দম।।

ভবিষ্যৎ

প্রসঙ্গে

জেরে

এসব

কথাবার্তা

উঠলো

-

না

না

ওরকম

আপনি

হতে

পারেন

না

..

অমিত।। 

আমি

কোনদিন

এক

টাকাও

তচনচ

করিনি

-জীবনে

করব

না-

মরে

গেলেও

না

!

কথা

মনে

রাখবেন

অরিন্দম

বাবু...

সুবর্ণ

।।

শ্রমিক

ভাইয়েরা

যে

যার

কাজে

যান...

দেখলেন

তো

মালিকপক্ষ

মানে

অরিন্দম

বাবু

-সকলের

সামনে

মিটিং

ডাকবে

বলে

কথা

দিলেন।

যখন

আলোচনা

করবে

বলছেন

তখন

উনাকে

আর

একটা

সুযোগ

দেয়া

যাক

না

কি

হয়

দেখতে

যাক

....

না

হলে

পেছনের

রাস্তা

তো

খোলা

আছে

?

কি

বলেন 

(চলো-

চলো-

চলো

সমবেত

জনতা

চলে

যায়

কাজে

যোগ

দিতে)

অরিন্দম।। 

অমিত

বাবু

সুবর্ণ

বাবু

তাহলে

আগামী

১৫ইএপ্রিল

রবিবার

আমার

অফিসে

ঠিক

সময়ে-

মানে

দশটার

সময়

চলে

আসুন…

আপনাদের

জন্য

সবরকম

ব্যবস্থা

থাকবে

-হা-হা-হা

(রহস্যময়

হাসি

)

অমিত।। 

ব্যবস্থা

ট্যাঁবস্থা

কিছু

করতে

হবেনা

আপনাকে- 

আপনার

সঙ্গে

আমাদের

আতিথিয়তা

নেই

!

আর

থাকতে

পারেনা

তার

দুটো

কারণ

এক-

শ্রমিক

মালিকপক্ষ

এক

হয়না!

আর

নিম্নবিত্ত

উচ্চবিত্ত

এক

পাতেখেতে

পারেন

না…

দুটি

মেরু

সুমেরু

কুমেরু

যেমন

এক

মিলিত

হয়

না

তেমনি

শ্রমিক

মালিক

এর

দুই

মেরুতেই

অবস্থান

!

সুবর্ণ

।।

আহা

আমিত

দা

অত

চটেছেন

কেন

?

উনি

নিজে

যখন

আমাদের

কাছে

ছুটে

এসেছেন

-তখন

নিশ্চয়ই

আমাদের

প্রাণে

তাকাবেন

…আমাদের

দুঃখ

কষ্ট

বুঝবেন

-

কি

বলেন

গাঙ্গুলী

সাহেব

?

অরিন্দম

।।

হ্যাঁ-

হ্যাঁ

নিশ্চয়ই-

নিশ্চয়ই

সিওর…

আপনার

আমাকে

দেখবেন

আর

আমি

আপনাদেরকে

দেখবো

না

তা

কি

কখনো

হয়-

না

হতে

পারে

?

অমিত।। 

ব্যক্তিগতভাবে

আমাদের

দিকে

আপনাকে

দেখতে

হবে

না

!অনুগ্রহ

করে

শ্রমিকের

স্বার্থের

দিকে

নজর

দিন

-

তা

না

হলে

এমন

দিন

আসবে

সেদিন

দেশের

গতি

স্তব্ধ

হয়ে

যাবে

!

সমস্ত

চাকা

বন্ধ

হয়ে

যাবে...

আপনাদের

এই

অট্টালিকা

-

সমস্ত

ধনদৌলত

এই

মাটিতেই

গড়াগড়ি

যাবে

!

আর

এক

মুঠো

খাবারের

জন্য

হা-হা

কার

করে

কাঁদবেন...

কিন্তু

আশ্চর্য

কোটি

কোটি

টাকা

থাকা

সত্ত্বেও

খাবার

পাবেন

না

-

পানীয়

বিষে

পরিণত

হবে

-

দুর্ভিক্ষ

দেখা

দেবে

দেশে

দেশে…

মনে

রাখবেন

এই

শ্রমিক

-এই

ক্ষেতমজুর-

ওই

চাষী

কুমার

কামারাই

-এই

সমাজের

ভিত

…ওরা

ছাড়া 

সমাজ

তাসের

ঘরের

মতো

ভেঙে

পড়বে-

ভেঙে

খান-খান

হয়ে

যাবে… 

খান-খান

হয়ে

যাবে…

 (

অমিতের

প্রস্থান)

অরিন্দম

।। 

পাগলের

প্রলাপ

ওই

অট্টালিকা

ওই

ধনদৌলত

মাটিতে

গড়াগড়ি

যাবে…

হাঃ

হা

হা

(অট্টহাসি

)

বিড়াল

বলে

মাছ

ভাজা

খাব

না

..ওই

তোমার

মতো

কত

নেতাই 

তো

দেখলাম

হে

...

টাকাভর্তি

ব্যাগ

হাতে

ধরিয়ে

দিলেই- 

পায়ের

কাছে

পুষি

মেনির

মত

ল্যাজ

নাড়তে

দশ

মিনিটও

সময়

লাগবে 

না

....

হা

-হা

-হা....

সুবর্ণ

।।

ওই

চাষী

ওই

মজুর

ওই

শ্রমিক

কি

যেন

মিস্টার

গাঙ্গুলী

?

অরিন্দম

।।

সমাজের

ভিত

(রহস্য

করে)

সমাজের

রক্ষাকবচ...

(

দুজনেই

উচ্চস্বরে

হাসি 

হা-

হা-

হা...)

!! 

পর্দা

নামে

!!

প্রথম

অঙ্কের...

 -:

দ্বিতীয়

দৃশ্য

:-

(অরিন্দম

গাঙ্গুলী

অফিস

চেয়ার

টেবিল

খাতাপত্র....

চোখে

পড়ল-

অরিন্দম

চেয়ারে

বসে 

ফাইল

দেখছেন

আর

ক্ষনে

ক্ষনে 

হাত

ঘড়ি

দেখছেন

-

এমন

সময়

একসঙ্গে

অমিত

সুবর্ণ

-এর

প্রবেশ

)

অরিন্দম

।।আরে

আসুন

আসুন

কি

সৌভাগ্য

আমার

-

আপনাদের

মত

মহান

নেতার

পায়ের

ধুলো

পড়লো

আমার

অফিসে

...

এতক্ষণ

আপনাদের

অপেক্ষাই

করছিলাম

...

বসুন

....

অমিত।।

আর

আমরাও

অপেক্ষায়

ছিলাম

কখন

শ্রমিকদের

দাবি

গুলো

আলোচনা

হবে

মালিকের

সঙ্গে

মুখোমুখি

বসে

...

কারণ

আপনাদের

মত

দেব

তুল্য

মানুষের

নাগাল

তো

সহজে

পাওয়া

যায়

না

...

অরিন্দম

।।

রাতে

বোধহয় 

ঘুমোতে

পারেননি

(মৃদু

হাসি)

অমিত।।

রহস্য

করছেন?

করুন

...করুন...শ্রমিকরা

তো

মালিকের

চিরদিনের

উপেক্ষার

পাত্র

-

তাদের 

জীবন

নিয়ে

ছিনিমিনি

করাই

তো

আপনাদের

কাজ

!

সুবর্ণ

।।

আঃ

অমিতদা

এসেই

শুরু

করলেন...

অরিন্দম

।।

এইতো

এলেন-

বসুন

আরাম

করে

জলখাবার

খান

-আমার

অতিথি

সেবা

নিদর্শন

পরখ 

করুন

..

এই

কে

আছিস

মিষ্টি

-জল-

খাবার

-ঠান্ডা

পানীয়

নিয়ে

আয়

!

অতিথি

সেবাই

যে

পরম

ধর্ম... 

(ঠোঁটের

কোণে

রহস্যময়

হাসি)

অমিত

।।

(বিরক্তির

স্বরে)

ওসব

থাক...

আমরা

আপনার

অতিথি

হয়ে

এখানে

আসেনি

মিস্টার

গাঙ্গুলী-

এসেছি

আমাদের

দাবি-দাওয়া

নিয়ে

আলোচনা

করতে

মীমাংসা

করতে...

সুবর্ণ

।।

আপানি

কি

বেরসিক 

আমিতদা

..ধরুন

আপরার

বাড়িতে

কেউ

যদি

আসেন

তাকে

শুধু

মুখে

ফিরিয়ে

দিতে

পারবেন

?

হাজার

শত্রু

হলেও

ধরে

নিচ্ছি

উনি

মালিক

পক্ষ

আমরা

শ্রমিক

পক্ষ

হলেই

বা

আজ

আমরা

ওনার

মানে

কি

মিস্টার

গাঙ্গুলীর

অতিথি

....উনি

কি

আমাদের

খালি

হাতে

শুধু

মুখে

ফিরিয়ে

দেবেন

তা

ওনার

ধম্মে

সইবে

?

অরিন্দম

।।

(অতি

উৎসাহের

সঙ্গে)

ইউ

আর

রাইট

সুবর্ণ

বাবু

...

অমিত

।।

(বিরক্তির

স্বরে

)

ওসব

কথা

বাদ

দিন

এখন

আলোচনায়

আসুন

...

অরিন্দম।। 

আরে

ধীরে...

ধীরে...

এই

কে

আছিস

নিয়ে

আয়...

(

জৈনিক

ব্যক্তি

একটা 

সুটকেস

হাতে

প্রবেশ

)

ব্যক্তি

।।

ইয়েস

স্যার

পুরো

টাকাটা

ক্যাশে

এনেছি

-

আপনার

কথামতো

...

টেবিলের

উপর

রেখে

...

(প্রস্থান

)

অরিন্দম।। 

স্যুটকেসটা

দেখিয়ে

এতে

দু'লাখ

টাকা

আছে

দুজনে

ফিফটি

-

ফিপটি

মানে

এক

লাখ

আপনার

আর

বাকিটা

সুবর্ণ

বাবুর

...এখানেই

শেষ

নয়

আন্দোলন

বন্ধ

করুন

-ভালোমতো

মাল

সাপ্লাই

দিন

-

আমি

কথা

দিচ্ছি

মাসের

দু

-তিন

তারিখের

মধ্য

দশ-হাজার

টাকা

করে

আপনাদের

একাউন্টে

ঢুকে

যাবে

!

কাকপক্ষীও

টের

পাবে

না...

এখন

আর

নিশ্চয়ই

আলোচনার

প্রশ্ন

ওঠেনা

...হা-হা-হা...

অমিত।। 

নিশ্চয়ই

আছে

একশো

বার

আছে

-

এই

জন্যই

বুঝি

আপনি

আলোচনার

নাম

করে

ডেকে

এনেছেন?

শত

শত

শ্রমিকের

রক্ত-ঘামে

তাদের

দুঃখ-কষ্ট

মাত্র

দু

লাখ

টাকায়

কিনতে

চাইছেন

?

অরিন্দম

।।

ঠিক

আছে

বাড়িযে

দিচ্ছি

তিন

লাখ

পাঁচ-লাখ

-দশ

লাখ

?

অমিত।। 

আমার

কথাটা

উল্টো

মানে

করছেন

মিস্টার

গাঙ্গুলী?

পাঁচ-দশ

লাখ

কেন?

দশ

কোটি

টাকা

তেও

এই

অমিত

রায়

কে

কেনা 

যাবেনা 

!

তাহলে.... (কথার

মাঝে

মাঝে

অমিতকে

বাধা

দিয়ে

সুবর্ণ

বলে

চল)

সুবর্ণ

।।ব্যাস

ব্যাস… 

 অনেক

হয়েছে

অমিত

দা...

অনেক

লম্বা

চওড়া

ভাষণ

শুনেয়েছেন

...

আপনি

আপনার

মতো

থাকুন-

আমাকে

আমার

মত

চলতে

দিন

আজ

থেকে

আমার

আর

আপনার

পথ

আলাদা

...

অমিত

।।

বিস্ময়ভরে

সুবর্ণ

তুই

তাহলে

আগে

থেকেই....

সুবর্ণ

।।

(মুখের

কথা

কেঁড়ে) 

হ্যাঁ

হ্যাঁ

আগে

থেকেই

....আমি

অরিন্দম

বাবুর

সঙ্গে

গটাপ

করে

সেদিনের

মিটিংয়ে 

আলোচনার

প্রতিশ্রুতি

দিতে

বলেছিলাম

...

অমিত।।

তুই

তাহলে 

শ্রমিকদের

পথে

বসাতে

চাস

?

সুবর্ণ

।।

হ্যাঁ

তাই-

যদি

বল

তাই

..তাই

অমিতদা-

ওই

লম্বা-চওড়া

ভাষণ

মঞ্চেই

মানায়

...

বাস্তব

জীবনে

তা

মূল্যহীন-

বস্তাপঁচা

-ব্যাকডেটেড...

অমিত

।।

বেঈমান-বিশ্বাসঘাতক

-স্বর্গ

তো

কোন

ছার

নরকেও-তোর

ঠাঁই

হবে

না

শয়তান

...

সুবর্ণ

।। 

ভুলে

গেলেন

বাদার

..."কোথায়

স্বর্গ

কোথায়

নরক

কে

বলে

তা

বহুদূর-

মানুষের

মাঝে

স্বর্গ

নরক

মানুষেতে

সুরাসুর

অমিত

।।

ছি

-ছি-

সুবর্ণ

মহাপুরুষের

বাণী

মুখে

আনতে

তোর

লজ্জা

করছে

না?

মালিকের

পায়ের

তলায়

বসে

ল্যাজ

নাড়তে

তোর

বিবেকে

বাঁধছে

না

?

সুবর্ণ

।। 

বি-বে-ক

মনুষত্ব

হা-হা-হা...

হাসালেন

অমিতদা-

বিবেক

মনুষত্ব

ওসব

আপনার

মত

কাপুরুষকে

শোভা

পায়…

অমিত।। 

(উত্তেজিত

হয়ে)

সুবর্ণ

জানিস

তুই

কাকে

কি

বলছিস

?

সুবর্ণ

।।

হ্যাঁ

জানি

জানি

অমিতদা..

আপনার

মতো

লোক

যারা

সভায়

গিয়ে

বড়

বড়

কথা

বলে

...

আর

ঘরে

দুবেলা

হাঁড়ি

চড়ে

না

...ছেলে

বিনা

চিকিৎসায়

মারা

যায়...

স্ত্রীর

পরনের

শাড়ি

জোগাতে

পারে

না..

তাদের

দলে

আমি

নেই

অমিত

দা 

আমি

নেই.....

অমিত।। 

মালিকের

পা

চাটা

কুত্তা..

টাকার

লোভে

তুই

মান

সম্মান

সব

বিসর্জন

দিয়ে

আমাকে

এখন

বলছিস

কাপুরুষ

?

সুবর্ণ

।।

হ্যাঁ

তাই...

আজকের

সমাজে

মান

পেতে

গেলে

সম্মান

পেতে

গেলে

চাই

টাকা

-

যে

কোন

প্রকারে

রাশি

রাশি

টাকা

..

আর

আমি

তা

হাতের

মুঠোয়

পেয়েও

ছেড়ে

দেবো? 

তা

কখনোই

হয়

না

..

কখনই

না

...

অরিন্দম।। 

আমি

বলছিলাম

কি

নিজেদের

মধ্যে

বিবাদ

না

করে

...

সোনার

আন্ডা

দেওয়া

হাঁসকে

কেউ

কি

হাতছাড়া

করে

?

মিস্টার

অমিত

বাবু.?

ভেবে

দেখুন

শেষবারের

মতো

...কথায়

আছে

না

পকেটের

না

থাকলে

টাকা

দুনিয়াতে

তার

সবই

ফাঁকা

...

সুবর্ণ

।।

কত

মানুষ

আছে

টাকার

জন্য

স্রেফ

টাকার

জন্য

নিজের

স্ত্রীকেও

পরপুরুষের

সঙ্গে

রাত

কাটাতে

দ্বিধা

করে

না

...

বিবেক

মনুষত্ব

সব

ব্যাকডেটেড..

আজকের

স্লোগান

হল

বডি

দেখাও

রোগড়া

কামও

...

অমিত

।। 

শতধিক

তোকে

-

তোর

মুখে

থুতু

দি...

পুরুষ

হলি

কেন

?

মেয়ে

হয়ে

পয়সা

কামাতে

পারতিস

?

হিজরে

কোথাকার...

থু...(

থুতু

দেয়)

দেখ

তোর

মালিকের

পায়ের

ধুলো

জমেছে

-

চেটে

সাফ

কর

...যেন

তোর

মুখ

দেখা

যায়...

অরিন্দম।।

ব্যাস-ব্যাস..

অনেক

হয়েছে

এত

বাড়

ভালো

নয় 

অমিত

বাবু

...

মুখে

লাগাম

টানুন...

দেখবেন

শেকড়

সমেত

উপড়ে

না

যান

?

আমিত।।

আপনি

কি

আমাকে

ভয়

দেখাতে

চাইছেন

?

অরিন্দম

।।

ভয়

দেখাবো

আরে

না

না-

আমি

ভয়

দেখবো

আপনার

মত-

মানে

আপনার

মত

মানুষকে

...

জন

দরদি

আদর্শবাদী

....কর্তব্য

পরায়ন-

মানুষকে

আরে

থুড়ি

নেতাকে

...

শুধু

একটু

সাবধান

করে

দিচ্ছি...

অমিত।। 

জানি

বড়

গাছ

হলে

ঝড়

আগে

লাগে-

জানেন

কি

অরিন্দম

বাবু

বড়

গাছে

কত

পাখি

বাসা

বাঁধে...

কত

প্রথিক

ক্লান্ত

হয়ে

আশ্রয়

নেয়

-

আমি

যতদিন

বাঁচবো

খেতে

না

পাওয়া

ওই

সত্যি

কারের

মানুষ

গুলোর

পাশে

থাকব

!

আমার

এই

বুক

দিয়ে

আগলে

রাখব-

আগলে

রাখব

মনে

প্রানে..জীবন

যাক

তবুও

শয়তানের

খাতায়

নাম

লেখাতে

পারবো

না

...কিছুতেই

না...

সুবর্ণ

।।

বলা

যায়না

ভগবানের

কুদৃষ্টিতে

যদি

ভালো

মন্দ

আপনার

কিছু

একটা

হয়ে

যায়...

তাহলে

বৌঠান

-

আপনার 

দশ

বছরের

ছেলে

বিজয়

পথে

পথে

ঘুরবে।

একমুঠো

খাবারের

জন্য

মানুষের

দরজায়

দরজায়

কড়া

নাড়বে…তারপর

না

খেতে

পেয়ে

বিনা

চিকিৎসায়

এক

দিন

হয়তো

মরেই

যাবে

রাস্তার

কুকুর

ছাগলের

মত…

ভেবে

দেখুন

একবার…!

অমিত।। 

সুবর্ণ

তাই

যদি

ঈশ্বরের

ইচ্ছা

হয়

তাহলে

তাই

হবে!

অদৃষ্ট

কে

আমি

ভয়

পায়

না..

আমি

চলি

(প্রস্থান

উদ্যোগ

-

আবার

ঘুরে

দাঁড়িয়ে

)

যতদিন

না

এই

তোদের

মত

মানুষের

মুখোশধারী

শয়তান

গুলোর

জনসমক্ষে-

জনতার

আদালতে

...খুলতে

পারব

ততদিন

আন্দোলন

করবো-

অন্যায়ের

প্রতিবাদ

করব

..

প্রাণ

থাক

আর

যাক

!

সুবর্ণ।।

আরে

যান

যান

আন্দো-লন

করবে-

প্রতিবাদ

ক-র-বে

গত

জন্মে

পরকালে...

মুখোশ

খুলবে...

হা

হা

হা

...

অমিত

।।

হ্যাঁ

তাই

কর-

তুই

রাস্তার

কুকুর

গুলোর

মত

প্রভুর

পায়ের

তলায়

বসে

অটো

পাতা

চেটে